facebook icon

ঢাবিতে রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স, মূলবক্তা আলী রিয়াজ

ঢাবি প্রতিনিধি প্রকাশ: 20 June 2025, 08:04 PM , আপডেট: 23 June 2025, 12:26 AM
রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং
রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের ওপর কনফারেন্স উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং   © টিডিসি

রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ‘দ্য স্টেট রিফর্মস অ্যান্ড ইলেকশন ডিসকোর্স ইন ট্রানজিশনাল ডেমোক্রেসি: ফ্রম মাস আপরাইজিং টু ইলেকশন অ্যান্ড স্টেট বিল্ডিং’ শীর্ষক প্রথম পলিটিক্যাল সায়েন্স কনফারেন্স শুরু হচ্ছে আগামী রবিবার (২২ জুন)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের প্রফেসর মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মেলন চলবে দুই দিনব্যাপী।

কনফারেন্সের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের এই সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। তারা নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার ইস্যুতে গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।

সম্মেলনের প্রথম দিন বিকেল ৫টায় কী-নোট উপস্থাপন করবেন জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।

উদ্বোধনী বক্তব্য রাখবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। গেস্ট অব অনার হিসেবে থাকবেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন।

বিভিন্ন সেশনে আলোচক ও চেয়ার হিসেবে থাকবেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেনসহ বিশিষ্টজনেরা।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সমাপনী বক্তব্য রাখবেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইয়াহইয়া আখতার।

শ্যাডো রিফর্ম কমিশন, শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন এবং পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কনফারেন্সটি আয়োজন করছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি ডাটা কালেকশনের মাধ্যমে এই কনফারেন্সের ভিত্তি গড়ে তুলেছে। সংস্কারের রূপরেখা তৈরি করা এবং বাস্তবায়ন করা—এই দুটো বিষয়ই চ্যালেঞ্জিং। রাজনৈতিক দলগুলোকে এমনভাবে কাজ করতে হবে, যাতে জনগণ সেই সংস্কারে ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা দেখতে পায়।”

কনফারেন্সে রাজনৈতিক দলের কিছু নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ থাকবে। এতে ছায়া সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবনা নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটবে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক এ কে. এম. মতিনুর রহমান বলেন, “আমাদের এই বাংলাদেশ বহু মানুষের রক্তে রঞ্জিত। ৫ আগস্টের ঘটনাতেও আমরা সেই আত্মত্যাগ প্রত্যক্ষ করেছি। আমাদের দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ তরুণ। যদি এই তরুণ প্রজন্মকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে।”

School থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ