ঢাবিতে স্বাস্থ্যসেবায় জনপ্রতি মাসিক ব্যয় মাত্র ১৯ টাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এক হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় ব্যয় হবে। যা মোট বাজেটের প্রায় শূন্য দশমিক এক শূন্য (০.১০%) শতাংশ। সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজারেরও বেশি। শিক্ষকের সংখ্যা ১ হাজার ৯৮৮ জন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী, কর্মকর্তার সংখ্যা ৪৫১৩ জন। এতে মোট সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় সাড়ে ৪৩ হাজারের মতো।
হিসেব অনুযায়ী সাড়ে ৪৩ হাজারের বিপরীতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সহায়তায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। ফলে মাথাপিছু বাৎসরিক ব্যয় হবে ২২৯ টাকা। এতে জনপ্রতি মাসিক ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ১৯ টাকা।
জানা গেছে মোট বাজেটের ৬৪৮ কোটি ২৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয় হবে হবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভাতা ও পেনশনে। যা মোট বাজেটের প্রায় ৬২ শতাংশ। এর মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনে ২৯৩ কোটি ৫০ লাখ, ভাতায় ২১৫ কোটি ৯১ লাখ ৪৩ হাজার এবং পেনশন ও অবসর সুবিধায় ১৩৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হবে।
এক হাজার ৩৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকার প্রস্তাবিত বাজেটের বাজেট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ৮৮৩ কোটি চার লাখ টাকা দেবে। এ ছাড়া ঢাবি উৎস থেকে ৯০ কোটি টাকা আসবে। ফলে ঘাটতি থাকবে ৬২ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বেশি।
গবেষণা খাতের বাজেট নিয়ে কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বাজেট প্রণয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমরা এর বাইরে যেতে পারি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যয় বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। যতদিন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা না আসবে, আমরা সরকারের ওপর নির্ভরশীল থাকব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের কোয়ালিটি বাড়ার সুযোগ থাকবে না।
তিনি বলেন, এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সাথে আমাদের বৈঠকে আমরা গবেষণা খাতের কথা বলেছি। তিনি আমাদের প্রস্তাব আকারে এটি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
জুন মাসের মধ্যে বার্ষিক সিনেট অধিবেশন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এবার তা হচ্ছে না। এমনকি জুলাইয়ের মধ্যেও তা হবে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।