facebook icon

নারীবিষয়ক কমিশন বাতিলের দাবি রাবি ছাত্রীসংস্থার

রাবি প্রতিনিধি প্রকাশ: 21 May 2025, 07:36 PM , আপডেট: 21 May 2025, 07:36 PM
রাবিতে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি
রাবিতে ইসলামী ছাত্রীসংস্থার প্রতিবাদ কর্মসূচি   © টিডিসি

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল, ইসলামবিরোধী ও নৈতিকতাবিচ্যুত সুপারিশ প্রত্যাখ্যান এবং 'নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা'র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। ২১ মে (বুধবার) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদেরকে ‘নারী-পুরুষ বাইনারি, এই শর্তেই দেশ গড়ি’, ‘যৌন কর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান’, ‘সম অধিকার নয়; চাই ন্যায্য অধিকার’, ‘নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী‘, ‘পতিতাবৃত্তিকে না বলি’, ‘সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না’, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই’, ‘অপসংস্কৃতি চলবে না’, ‘Say No to LGBTG Agenda’ স্লোগানের প্লেকার্ড ব্যবহার করতে দেখা যায়।

এসময় ছাত্রীসংস্থার নেত্রীরা বলেন, গত ১৯ এপ্রিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটা টিম প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ৩১৮ পৃষ্ঠার ৪২৩টি প্রস্তাবনা দেন। যার অধিকাংশ প্রস্তাবনা আমাদের ইসলাম ধর্ম-জাতিসত্ত্বার সাথে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের সাথেও সাংঘর্ষিক যেখানে নারীদের মর্যাদাকে খর্ব করা হয়েছে।

তারা আরো বলেন, এখানে তারা স্বাধীনতার নামে যে প্রস্তাবণা দিয়েছেন এতে আমাদের পরিবারিক কলহ আরো বাড়িয়ে তুলবে। তারা এখানে সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা পক্ষ থেকে নারী পুরুষের কিছু পার্থক্য রয়েছে। একজন নারী-পুরুষের ক্যারেক্টরিস্টিকস আলাদা। পুরুষের এমন কিছু ক্যারেক্টরিস্টিকস আছে যা নারীকে দেওয়া হয়নি আবার নারীর কিছু ক্যারেক্টরিস্টিকস আছে যা পুরুষকে দেওয়া হয়নি। এ ক্যারেক্টরিস্টিকসকে অগ্রাহ্য করে তারা ভিন্ন যুক্তি দাড় করাচ্ছে। আমরা এ নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই।

আরও পড়ুন: নিজ ক্যাম্পাসে হামলার শিকার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা কর্মসূচি সম্পর্কে নেত্রীবৃন্দ বলেন, একইসাথে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের যারা সমালোচনা করছে এটাকে ভিন্ন দিকে নেওয়ার জন্য তখন তারা ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার’ নামে নতুন নাটক শুরু করেছে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অশালীন পোষাকে নারীর অধিকার আদায়ের নামে নারীর ভূষণকে খর্ব করা হয়েছে, ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যা ধর্মীয় অবমাননা, ট্রান্স মুক্তিকে নারীমুক্তি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম নারীর সাথে সাংঘর্ষিক তারা এলজিবিটিজি’কে প্রমোট করছে। যা আমাদের মানবসম্প্রদায় জন্য একটা বিধ্বংসী মতবাদ। অথচ ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিকৃত মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভূত, মানবকল্যাণেই যার বৈধতা নয় বরং চিকিৎসার প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ঢাবি প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দের’

এসময় ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিল এবং সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করার দাবি জানান তারা।

 

School থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ