অনড় আন্দোলনকারীরা, ইউজিসিতে ১২ ঘণ্টা ধরে চলছে আন্দোলন
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবি

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৯ মে) রাত ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা ধরে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা৷ তাদের সঙ্গে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষকরাও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা, রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ইউজিসি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে অন্তত ১০ দশ জনের শিক্ষক বসে রয়েছেন। অবস্থানরত শিক্ষকরা বলছেন, তারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে এসেছেন। দুটি বাস এখনো এখানে রাখা হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য।
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অনড় জানিয়ে বলেন, বারবার আমাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আজকেও আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আমরা এই সমস্যার সমাধান ছাড়া ইউজিসি ভবন ছাড়বো না।
এদিকে ইউজিসির প্রাঙ্গণে বসে রয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। এছাড়াও বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে পায়চারি করতে দেখা গেছে। এছাড়াও ইউজিসির রিসিপশনের সোফায় কয়েকজনকে এলোমেলোভাবে শুয়ে-বসে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল টেকনোলজি এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেদুজ্জামান বসুনিয়া শাকিব বলেন, আমরা অনেকদিন যাবত আন্দোলন করছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আমাদের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না। এখনো আমরা আন্দোলনে রয়েছি। আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফখরুল হাসান ফয়সাল জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ের মাধ্যমে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সিনিয়র শিক্ষা সচিব বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়, যা ইউজিসি চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ পাঠানো হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির বিষয়ে অনড় অবস্থানে রয়েছে এবং পূর্বঘোষিত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের দাবিতে পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বাসযোগে ইউজিসি কার্যালয়ের সামনে আসেন। পরে সেখান টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এদিকে, দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি পরবর্তী মন্ত্রিসভা বৈঠকে তোলা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল ইউজিসি। তবে শিক্ষার্থীরা জানায়, মন্ত্রীসভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাদের।