হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, চার দফা দাবি

ক্লাসরুম সংকট ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে চার দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (১৯ মে) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে চলতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে একাধিক প্রফেসর নিয়োগসহ শিক্ষক-ছাত্র ১ঃ১৫ অনুপাতে মোট শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, ক্লাস ও ল্যাবের সংকট দূর করতে অন্তত ৪টি ক্লাসরুম এবং কমপক্ষে ৭টি ল্যাব (কম্পিউটার, ড্রয়িং, স্ট্রাকচারাল, জিওটেকনিক্যাল, ট্রান্সপোর্টেশন, এনভায়রনমেন্টাল, ওয়াটার রিসোর্সেস) বরাদ্দ দিতে হবে, প্রত্যেকটি ল্যাবরেটরির জন্য পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং দক্ষ ১ জন করে ল্যাব টেকনিশিয়ান নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে এবং আমাদের প্রকৌশলী পরিচয় নিশ্চিত করতে Institution of Engineers, Bangladesh (IEB) এর স্বীকৃতি অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে, দাবি শিক্ষার্থীদের
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমা আক্তার রাহা বলেন, ‘আমরা দুইদিন যাবৎ অবস্থান কর্মসূচি পালন করার পরও প্রশাসনের কোনো টনক নড়েনি। আমরা কি আমাদের মৌলিক অধিকারগুলো চেয়ে খুব অপরাধ করে ফেলেছি?’
একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বুলবুল হাসান বলেন, ‘একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট গুলোর কেন কোন অগ্রগতি নেই.? হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট ১১ বছরের পুরোনো একটি ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু শুরুতে এ ডিপার্টমেন্টের যেই ল্যাব ইকুইপমেন্ট ছিল দিন দিন তার আরো অবনতি ঘটছে। এই ডিপার্টমেন্টে স্টুডেন্ট সংখ্যার বিপরীতে শিক্ষক সংখ্যা একেবারেই কম। বারবার প্রশাসনকে শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হলেও তারা কোন ভ্রূক্ষেপ করছেন না। আমরা চাই প্রশাসন, এই ডিপার্টমেন্টের দাবিগুলো দ্রুত মেনে নিয়ে ডিপার্টমেন্টের উন্নতি সাধন করুক।’
প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী অভিজিৎ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা একরাশ আশা নিয়ে এসে দেখি পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। পর্যাপ্ত ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ নেই।আমরা আমাদের দাবিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।