‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ বাস্তবায়নে বাসযোগে ঢাকায় ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ নাম পরিবর্তন করে ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামকরণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। তবে দেশের বিশেষায়িত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি যুক্ত না করে গেজেট প্রকাশ করার প্রতিবাদে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করছেন শিক্ষার্থীরা। এরপরও সংকটের সমাধান না হওয়ায় ‘লং মার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
সোমবার (১৯ মে) সকালে ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ থেকে দুটি বাসে করে তারা ইউজিসির পথে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। ইন্টারনেট অব থিংস অ্যান্ড রোবোটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইআরই) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফখরুল হাসান ফয়সাল জানান, বাস ঢাকার পথে যাত্রা শুরু করেছে। অনেকেই ঢাকায় থাকায় সেখান থেকেও সরাসরি যুক্ত হবেন।
লংমার্চের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্লাস বন্ধের ব্যাপারে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে দুবার জানানো হয়েছে। সদস্যরাও জানে। আর আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল যে, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামে আমরা কোনও কার্যক্রমের অংশগ্রহণ করব না। যার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তিন মাস যাবত অপেক্ষা করছি। কিন্তু তাদের কাছে বারবার যাওয়ার পরেও তাদের দিক থেকে যথাযথ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করল না এখন পর্যন্ত। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ। সে ব্যাপারে কেন ইউজিসি থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করল না, তার জবাবও চাই।’
আরও পড়ুন: পলিটেকনিক ছাত্রকে উলঙ্গ করে পেটানোর অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে, গুলি করে মারার হুমকি
এর আগে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘লংমার্চ টু ইউজিসি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম সাধারণত দেশের নাম অনুযায়ী হয়। যেমন—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি এবং এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ। শেষ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও একই অধ্যাদেশের আওতায় পরিবর্তিত হয়েছে।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের জন্য চারটি নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলো হলো, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি নাম নির্ধারণ করার দাবি তাদের। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এখনো ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামই দেখা যাচ্ছে।