facebook icon

ডাকসু নিয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অনশন চালানোর ঘোষণা

ঢাবি প্রতিনিধি  প্রকাশ: 23 May 2025, 10:22 PM , আপডেট: 24 May 2025, 06:50 PM
ডাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন
ডাকসুর তফসিল ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন   © টিডিসি

দীর্ঘ এক ঘণ্টার ও বেশি সময় ধরে আলোচনার পরও অনশনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) এবং প্রক্টর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচন কমিশন গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসায় দীর্ঘ ৫৬ ঘণ্টার অনশনের পরেও তা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন তারা৷ তবে এসময় প্রশাসনের অনুরোধ শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে দুজন অনশনকারী শিক্ষার্থী।

আজ শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাসভবনের সামনে ডাকসুর তফশিল ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে চলমান আমরণ অনশন করা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

এসময় অনশন করা তিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তারা দুই দফায় আলোচনা করেন। তবে কোনো বিষয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি তারা। যার প্রেক্ষিতে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন ঘোষণার সুনির্দিষ্ট তারিখ না ঘোষণা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

তবে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও প্রক্টরের অনুরোধে অনশনকারী দুই শিক্ষার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লা ও মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোর্তজা মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তৎক্ষণাৎ তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ‘ইউনূস পদত্যাগ করলে সমস্যা নেই, চুপ্পুর অপসারণে সমস্যা’, বিএনপিকে এনসিপি নেতা

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ডাকসুর প্রস্তুতির বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা এ বিষয়টা তাদেরকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ডাকসুর চলমান প্রক্রিয়ায় কমিটি ক্যাম্পাসের ছাত্র সংগঠনগুলোর একটি অংশের সাথে ১৩ তারিখে আলোচনা করেছে। কিন্তু সেই রাতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কারণে আমরা অন্য সংগঠনগুলোর সাথে কথা বলতে পারিনি। সেই পরম্পরায় শিক্ষার্থীদের মাঝে এক ধরনের ট্রমা বা প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেখান থেকে বিষয়গুলো চলমান রাখা সম্ভব হয়নি। আগামীকাল আমাদের একটি মিটিং রয়েছে। আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে সেখানেও আলোচনা করবো। তবে তারা অনশন ভাঙতে রাজি হননি।

তিনি আরও বলেন, তাদের দুজনের শারীরিক অবস্থা খুবই গুরুতর। এর আগে বিকেলে তাদের স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তাদের শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে আমরা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর অনুরোধ জানিয়েছি। প্রথমে তারা সম্মত নান হলেও আমাদের ডাকসুর বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এমন আশ্বাসে তাদের দুজন চিকিৎসা নিতে রাজি হয়। এছাড়া অন্যজন এখনও অনশন চালিয়ে যাবে।

এর আগে, গত ২১ মে সাম্য হত্যার বিচার, ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি অনশনে বসেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। এরপরেই তার দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে অনশনে বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোহাম্মদ মাহতাব ইসলাম। পরে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন খালিদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।

School থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ