facebook icon

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, এবার দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড

ববি প্রতিনিধি প্রকাশ: 13 May 2025, 06:55 PM , আপডেট: 14 May 2025, 03:54 AM
সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা
সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা   © টিডিসি ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের একদফা দাবিতে অনশনে বসেছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে এবার মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুইপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়।

এর আগে অনশনে বসা ১২ শিক্ষার্থীদের ৬ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজীন হোসেন জানান।

তিনি বলেন, বর্তমানে তীব্র গরম থাকায় শরীরে পানি শূন্যতার কারণে ৫ জনকে আইভি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক শিক্ষার্থীর জ্বর হওয়ায় তাকে মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম নামের একজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অবরোধে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে, ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনতার। 

আমরণ অনশনে প্রায় ১৭ ঘণ্টা পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কোন কর্তৃপক্ষের সাড়া না আসায় মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা আসলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাইনি। কিন্তু দীর্ঘ এক মাস আন্দোলন করলেও প্রশাসন আমাদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করেনি। তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি।  

মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, আমাদের দাবি না মেনে নেওয়ায় আমরা দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড করতে বাধ্য হয়েছি। ৬ জনের মতো শিক্ষার্থী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সময় যতটা বাড়বে তত শিক্ষার্থীর অসুস্থতার সংখ্যাও বাড়বে। আমরা চাই খুব দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

আরও পড়ুন: আওয়ামী বয়ান ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টা করছে ছাত্রদল-বাম-গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ

অনশনরত শিক্ষার্থী এনামুল হক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন উপাচার্যের পদত্যাগের অথবা অপসারণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু যথাযথ কোন কর্তৃপক্ষ এখন অবধি আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এই স্বৈরাচার উপাচার্যের অপসারণ করিয়ে ছাড়বো। 

আন্দোলনে সংহতি জানানো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ওনার ব্যক্তিগত সহকারী জানান শিক্ষা উপদেষ্টা ব্যস্ত রয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোন সাড়া পাইনি। 

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনি কে মুঠোফোনে ফোন করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ ২৯ দিন যাবত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে। যেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি অংশ একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে সোমবার (১২ মে)  রাত ১১টা ৩০ মিনিটে গ্রাউন্ড ফ্লোরে আমরণ অনশনে বসে আন্দোলনকারী একটি অংশ।

English Medium থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ