কর্মচারী ও শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়, অথচ ডাকসু হতে কত বাধা: আব্দুল কাদের

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহবায়ক আব্দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য বড় বড় বিল্ডিং হয়! তাদের প্লাটফর্ম আছে। করোনার মধ্যেও তাদের নির্বাচন হয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। অথচ ডাকসু হতে গেলে কতো বাধা!
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্প’ নামক এক প্লাটফর্ম কর্তৃক আয়োজিত ‘ডাকসু নির্বাচন: অধিকার নাকি আনুষ্ঠানিকতা?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তব্য প্রদানকালে কাদের বলেন, আজকে এখানে এসে ডাকসুর জন্য কথা বলার কথা ছিল না। গণ অভ্যুত্থানের পরেও এখানে এসে বলতে হচ্ছে ডাকসু আমার অধিকার। মেয়েদের সিটের জন্য ভিসির বাসভবনের সামনে আন্দোলন করতে হচ্ছে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য আমাদের বার বার আন্দোলন করতে হচ্ছে। সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে প্রত্যেকে স্বার্থ হাসিল করেছে।
তিনি বলেন, যখনই যেই সরকার ক্ষমতায় এসেছে তারা এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের পুতুল বানিয়ে রাখতে চেয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে দাস বানিয়ে রাখা হয়েছে। আজকে আমাদের দায়বদ্ধতার জায়গা নাই। জবাবদিহির দায়বদ্ধতা নাই। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই ।
আবদুল কাদের আরও বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার এক সহপাঠীর আগের দিন বাচ্চা ডেলিভারি হয়েছে কিন্তু পরদিন তাকে এসে মিড টার্ম পরীক্ষায় বসতে হয়। অন্যথায় তাকে ২০ মার্ক ছেড়ে দিতে হবে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন চাই। আর এটা তখনই নিশ্চিত হবে যখন ডাকসু প্রতিনিধি থাকবে।
এছাড়া, মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর সংগঠক সজীব হোসেনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আরমানুল হক, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি মেঘমল্লার বসু এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মদ আলাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।