facebook icon

দুর্নীতির মামলা

যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য আব্দুস সাত্তার কারাগারে

যবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: 16 June 2025, 03:30 PM , আপডেট: 22 June 2025, 07:31 PM
যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার
যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তার   © সংগৃহীত

নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার (১৬ জুন) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সিরাজুল ইসলাম।

এ মামলার অপর দুই আসামি যবিপ্রবির উপপরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) আব্দুর রউফ ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে নিয়োগ এবং সরকারি ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক যশোরের তৎকালীন উপপরিচালক আল-আমিন। মামলার তদন্ত শেষে উল্লেখিত ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

আরও পড়ুন: ঢাবি এলাকায় বিক্ষোভ করে ককটেল ফাটাল ছাত্রলীগ, আটক ১

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগের জন্য গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট বাছাই বোর্ডের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার।

বাছাই বোর্ডের আর একজন সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন। একই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ সময় আরও তিন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়, কিন্তু কাউকে পাস করানো হয়নি।

বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত কর্মকর্তা হিসেবে আব্দুর রউফের কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও বাছাই বোর্ড অবৈধভাবে তাকে প্রথমে সহকারী পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়।

আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার বাকি ১০ দিন, পরীক্ষার্থীদের করণীয়

রিজেন্ট বোর্ড সভাপতি হিসেবে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে সেকশন অফিসার হিসেবে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার পদে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধাপ্রাপ্ত হয়ে বিভাগীয় প্রার্থীর সুবিধা নিয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) পদে এবং ২০২১ সালে উপপরিচালক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।

অবৈধ নিয়োগের কারণে ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

College থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ