facebook icon

না ফেরার দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত পবিপ্রবির ছাত্র উপদেষ্টা ড. জিল্লুর

পবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: 04 June 2025, 03:02 PM , আপডেট: 04 June 2025, 04:31 PM
প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান
প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান   © টিডিসি ফটো

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের প্রফেসর, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা এবং রিজেন্ট বোর্ড সদস্য প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।

গত মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোর ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যান্সার ও নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৮ বছর।

প্রফেসর ড. মো. জিল্লুর রহমানের অকাল প্রয়াণে পবিপ্রবি পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‌‌‌‘প্রফেসর জিল্লুর রহমান ছিলেন একাধারে জ্ঞানসাধক, শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষক ও একজন নির্ভরযোগ্য সহকর্মী। তার মৃত্যু বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তার প্রজ্ঞা ও আন্তরিকতা আমাদের আজীবন অনুপ্রেরণা জোগাবে।’

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, ‘তিনি ছিলেন বিনয়ী, সদালাপী ও বিশ্লেষণধর্মী চিন্তার অধিকারী একজন অসাধারণ মানুষ। তার প্রতিটি পাঠদান শিক্ষার্থীদের মনে আশার আলো জ্বালিয়ে দিত।’

১৯৭৭ সালের ১৯ জুন ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার ভায়না গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ড. জিল্লুর রহমান। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে কৃতিত্বের সঙ্গে বিএ (সম্মান) ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে পবিপ্রবিতে প্রভাষক হিসেবে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং সর্বশেষ অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

অ্যাকাডেমিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ভাষা ও যোগাযোগ বিভাগের চেয়ারম্যান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, রিজেন্ট বোর্ড সদস্য এবং বাংলাদেশ স্কাউটস পটুয়াখালী জেলার রোভার স্কাউটের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৯ সালে তিনি শেক্সপিয়ারিয়ান ট্র্যাজেডিজ অ্যান্ড সোশ্যাল রিয়ালিজম বিষয়ে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০২২ সালে ‘দ্য সেকেন্ড জেনারেশন ইংলিশ রোমান্টিক পোয়েটস অ্যান্ড কাজী নজরুল ইসলাম: আ কম্প্যারেটিভ স্টাডি’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশি ও আন্তর্জাতিক গবেষণা সাময়িকীতে তার ২০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও তার সহকর্মীরা একজন বিচক্ষণ শিক্ষক, গবেষক এবং মানবিক ব্যক্তিত্বকে হারালেন বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের। তার শূন্যতা পূরণযোগ্য নয় বলেই মনে করছেন সবাই।

College থেকে আরও পড়ুন

ads
সর্বশেষ সংবাদ