টিকিট বিক্রির ‘ডিজিটাল স্বাদ’ নিতে গিয়ে লেজেগোবরে বাফুফে

আগামী ১০ জুন ঘরের মাঠে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালরিতে বসে এই ম্যাচ দেখতে আগ্রহ তুঙ্গে ফুটবলপ্রেমীদের।
সোমবার (২৬ মে) পল্টন ময়দানে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের কুল-মিডিয়া কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনের পর হাইভোল্টেজ এই ম্যাচের টিকিট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
গত ২৪ মে রাত ৮টার পর এই ম্যাচের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছিল বাফুফের টিকিটিং পার্টনার টিকিফাই। কিন্তু ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে সাইবার আক্রমণের শিকার হয়ে টিকিট বিক্রির কার্যক্রম আপাতত স্থগিত ঘোষণা করে বাফুফে। তবে আজ রাত ১০টা থেকে ফের টিকিট বিক্রি শুরুর আশা বাফুফের।

এ প্রসঙ্গে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘বাফুফে সব সময় ইনোভেটিভ কাজ করে থাকে। প্রথমবার ভুল-ত্রুটি হতে পারে। এটা স্বীকার করে নিয়েছি। দুটি-একটি আইপি অ্যাড্রেস থেকে সাইবার আক্রমণ হয়েছে। এজন্য সাইবার ডাউন ছিল। টিকিট সংগ্রহ পর্যায় থেকে স্টেডিয়ামে প্রবেশ পর্যন্ত আমরা নজরদারি রাখব। ১০ জুন ম্যাচ এখনো অনেক সময় আছে। আমরা একটু সময় নিয়ে পুনরায় শুরু করছি। আশাবাদী আজ আবার রাত ১০টা থেকে সাইট ও প্ল্যাটফর্ম অন হবে সীমিত পরিসর হলেও।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে সাধারণ গ্যালারির আসন সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০০। আর ক্লাব হাউজ ও ভিআইপি মিলিয়ে আরও হাজার চারেক। ফলে, মাত্র ২২ হাজার আসন ক্ষমতার স্টেডিয়ামে চাহিদা অসীম।
এ নিয়ে বাফুফে সভাপতির ভাষ্য, ‘স্টেডিয়াম গ্যালারি ১৮ হাজার এর বাইরে হাজার দু’য়েক। দুভার্গ্যজনক হলেও বাস্তবতা অনেক সমর্থকই সীমিত আসনের জন্য স্টেডিয়ামের বাইরে থাকতে হবে। তাদের জন্য আমরা বাইরে ব্যবস্থা করব। বাফুফের পক্ষ থেকে ৮টি বিভাগীয় শহরে ফ্যান জোন করা হচ্ছে। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও করছে।’

এএফসি বাছাইয়ে প্রতি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন মূলপর্বে খেলতে পারবে। বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং ৪ দলেরই সমান এক পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধানও শূন্য। এজন্য ১০ জুনের ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বাফুফে সভাপতি। তার মতে, ‘আমি আশাবাদী এখনো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের গ্রুপটি বেশ টাফেস্ট। প্রতি দলেরই এক পয়েন্ট ও গোলও শূন্য। সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর টেবিলের অবস্থান নিশ্চয়ই বদলাবে। আমি সিঙ্গাপুর ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী।’