জাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের চোখে ঈদ উদ্যাপন
- ১০ জুন ২০২৫, ১০:৪৫

জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জাবিপ্রবি)—কোরবানির ঈদ শুধুই একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আত্মত্যাগ, বিশ্বাস ও ইতিহাসের এক গর্বিত স্মারক। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই আত্মনিবেদনের ঐতিহ্য আজও মুসলমানদের জীবনে প্রতিফলিত হয় ঈদুল আযহার প্রতিটি রীতিনীতিতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ত ক্যাম্পাসে প্রতিদিনের ক্লাস, অ্যাসাইনমেন্ট, ল্যাব আর পরীক্ষার চাপে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদের মনে ঈদের ছুটি যেন এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ছুটি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্রদের মনে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। শিকড়ের টানে, পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার আনন্দটাই যেন এ সময়ের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
ঈদের এই সময়টিকে ঘিরে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন জাবিপ্রবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৩য় বর্ষের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
কাজী মো. ইসমাঈল হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যস্ত জীবনযাত্রা, ক্লাসের একঘেয়েমি আর পরীক্ষার চাপের মাঝে ঈদের ছুটি এক স্বস্তির নিঃশ্বাস। কোরবানির ঈদ মানে শুধু পশু কোরবানি নয়, এটি আত্মত্যাগের শিক্ষা। এই আনন্দ যেন আত্মত্যাগের মধ্যেই খুঁজে পাই। তাই ছুটির নোটিশ দেখামাত্র মুখে ফুটে উঠে এক তৃপ্তির হাসি।”
মো. ইয়াসিনুল হাবিব বলেন, “এটি শুধু উৎসব নয়, বরং আত্মনিয়ন্ত্রণ, ঈমানি দৃঢ়তা আর আত্মত্যাগের মহত্তম প্রকাশ। ঈদের আনন্দ হোক অশ্লীলতা ও কৃত্রিমতা থেকে মুক্ত, শুদ্ধতা ও সততার প্রতীক। শ্রেণিবৈষম্য ও পঙ্কিলতা ভুলে সবাইকে নিয়ে উদযাপন করাই এই ঈদের মূল সৌন্দর্য।”
মো. রায়হান জানান, “এই ঈদ সম্পর্কের দূরত্ব ঘোচানোর উৎসব। ঈদের দিনে মানুষ সব বিভেদ ভুলে একে অপরকে আলিঙ্গন করে। এমন ভালোবাসার দিন বছরের প্রতিটি দিনেই আসুক—এই আমার প্রত্যাশা।”
মো. শাকিল মিয়ার অনুভব, “ঈদ মানে শুধু পশু কোরবানি নয়, বরং আমি চাই আমার সময়, ভালোবাসা ও আচরণও যেন অন্যের জন্য উৎসর্গ করতে পারি। পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত হোক ভালোবাসা আর মমতায় ভরা।”
জাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের চোখে কোরবানির ঈদ মানে শুধু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং আত্মত্যাগের অনুপ্রেরণা, ভালোবাসা ভাগাভাগির উপলক্ষ এবং সম্পর্কের নতুন বন্ধন তৈরির এক মহামিলন। তারা মনে করেন, ঈদের এই শিক্ষা এবং আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সারা বছর জুড়ে, আমাদের মন ও সমাজে।