গোবিপ্রবির বাজেট কমে গেল ৩৪ কোটি টাকা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি)
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) © ফাইল ফটো

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট ৩৭ কোটি থেকে কমিয়ে ৩ কোটিতে আনা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত বাজেট ৩৩ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা হ্রাস করা হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত যে বাজেট ঘোষণা করেন তাতে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এ পরিমাণ বরাদ্দ উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রায় ৩৭ কোটি ৪ লাখ টাকার বাজেট বরাদ্দ ছিল। কিন্তু চলতি অর্থবছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৫ লাখ টাকায়। বাজেট কমার ফলে  চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নির্মাণ কার্যক্রম স্থগিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও ল্যাবরুম সংকট দূর করার এবং শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নেওয়ার কথা ছিল। বাজেট বড় আকারে কমে যাওয়ার ফলে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে যে কাজ হওয়ার কথা ছিল তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করে ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মো. সাইমুন কায়সার নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “অন্যান্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ৩০০ কোটি টাকা পাচ্ছে, আর আমরা পাচ্ছি মাত্র ৩ কোটি টাকা! দেওয়ার দরকারই ছিল কী? এই বাজেট দিয়ে আমরা উন্নয়ন কীভাবে আশা করবো?”

অতিদ্রুত বাজেট বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে ফার্মেসি বিভাগের ১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে তুলনায় কম। ফলে এখানে এখনো ভালোভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন অনুসারে হয়নি। এখানে এখনো ক্লাস, ল্যাব রুম সংকট ব্যাপক আকারে। নতুন একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। এখানে মাত্র ১৬% শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা আছে। আবাসিক সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নতুন হল নির্মাণ করা প্রয়োজন। এদিকে এত শিক্ষার্থী তবু নেই জিমনেসিয়াম, নেই টিএসসি, নেই ভালো মেডিকেল সেন্টার। ফলে যেখানে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে সব থেকে বেশি বাজেট পাওয়ার কথা ছিল সেখানে আমাদের দেওয়া হচ্ছে সবচেয়ে কম। এমন বৈষম্য আমরা মেনে নিব না।" 

বৈষম্যের বাজেট পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, "আমরা স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই যদি আমাদের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের বাজেট বৃদ্ধি না করা হয় আমরা তীব্র আন্দোলন করে আমাদের দাবি আদায় করে আনবো।"