কুয়েট শিক্ষার্থীর ওপর হামলা, অভিযোগের তীর আওয়ামীলীগের দিকে
- ২৯ মে ২০২৫, ১৫:৫৭

ফের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) দুই শিক্ষার্থী। এ হামলায় আওয়ামীলীগের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে মেইন গেট থেকে কিছুটা সামনে ফুলবাড়ীগেট এলাকা দিয়ে হাঁটার সময় ইসিই ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাফওয়ান আহমেদ ইফাজ এবং ইএসই ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আল সাদ রাজিন অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন।
আহত এক শিক্ষার্থী জানান, বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মেইন গেট থেকে কিছুটা সামনে রিগ্যাল ফার্নিচারের সামনের গলি দিয়ে হাঁটাহাঁটি করার সময় হঠাৎ করে মুখোশ পরিহিত কয়েকজন লোক আসে এবং তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার বুকে এবং মাথায় ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করতে গেলে সে হাত দিয়ে তা প্রতিরোধ করে এবং হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে তাকে আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য হস্তান্তর করা হয়। তিনি জানান, হামলার জড়িত আওয়ামীলীগের লোকজন হওয়ার সম্ভাবনায় বেশি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী বিএনপিপন্থী পরিবারের ছেলে এবং ছাত্রদলের সমর্থক হওয়ায় আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছে।
এছাড়া সূত্রটি আরও জানায়, হামলার সময় আহত এক শিক্ষার্থীর প্রাক্তন প্রেমিকাকে হামলা সংঘটিত হওয়ার স্থানে দেখা যায়। যার সঙ্গে আহত এক শিক্ষার্থীর পূর্ব শত্রুতা ছিল। এ হামলার ঘটনা তার সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলেও সূত্রটি জানিয়েছে।
অন্যদিকে, আহত শিক্ষার্থীদেরকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যাওয়া স্থানীয় বিএনপি চেয়্যারম্যানের ছেলে ফেসবুকে পোস্টে উল্লেখ করেন, এই হামলায় স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করতে তিনি লিখেন, এভাবে ট্যাগিং করতে থাকলে মারতে থাকবে আওয়ামীলীগ আর দোষ দেওয়া হবে শিবির, ছাত্রদল, সাধারণ শিক্ষার্থীদের। মাঝখান থেকে মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী সন্ত্রাসীগুলো ফায়দা লুটবে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল থেকে প্রচারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘটনার জন্য গুপ্ত সংগঠনকে দায়ী করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের বারবার ফুলবাড়ীগেট এলাকায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হওয়া প্রসঙ্গে কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, হামলার ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি এবং আহত শিক্ষার্থীর শারিরীক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছি।
বারবার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই মূহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক না থাকায় আমাদের পক্ষে খুব বেশি কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না।আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।আমাদের বড় পরিকল্পনাগুলো ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় আসলেই পূরণ করা সম্ভব হবে।