বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ফাঁকা, দ্বিতীয় ভর্তির সার্কুলার দিতে স্মারকলিপি

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় © সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আসন ফাঁকা থাকায় দ্বিতীয় সার্কুলার বা ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে স্মারকলিপি দিয়েছেন মেধাতালিকায় থাকা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। আজ বুধবার (২৮ মে) এমবিবিএস কোর্সে শূন্য আসনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার অনলাইন পোর্টাল উন্মুক্তকরণ বা সার্কুলার দিতে করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন দ্বিতীয় সার্কুলারের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসন শূন্য রয়েছে। আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষেও দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

যাদের কথা বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন: সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীগণ। যারা দ্বিতীয়বারেরমতো ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাদের জন্য এটি শেষ সুযোগ। তারা অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতার কারণে প্রথম দফায় আবেদন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিশ্চায়ন না করা আবেদনকারীরা অনেক শিক্ষার্থী প্রথম দফায় আসন পেয়েও নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিশ্চায়ন করতে ব্যর্থ হয়। যাদের বেশিরভাগই এখনো ভর্তি হতে বিশেষভাবে আগ্রহী, কিন্তু দ্বিতীয় কোনো সুযোগ না দেওয়ায় তারা ভর্তির সুযোগ হতে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ছাড়াও ভুলবশত কোটা নির্বাচনের শিক্ষার্থীরা। কিছু শিক্ষার্থী ভুলবশত দারিদ্র ও মেধাবী কোটায় আবেদন করেছেন, অথচ তারা সাধারণ কোটায় আবেদন করলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেতে পারতেন। এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের ফলে তারা অটোমেশন সিস্টেম থেকে বাদ পড়েছেন। বিগত বছরগুলোতে প্রত্যেক বছরেই কর্তৃপক্ষ ২য় সার্কুলার দিয়েছে। 

এমনকি (২০২৩-২৪) সেশনে সর্বমোট তিনটি সার্কুলার দেয়া হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য। সেখানে এই বছর ১ম সার্কুলারের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে অথচ ২য় সার্কুলারের জন্য অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়নি, আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষেও। এমতাবস্থায় অনেক মেডিকেলে ভর্তি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য যে শিক্ষার্থীরা বিগত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে এই বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী সেকেন্ড সার্কুলারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে।

স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহে শূন্য আসনের ভিত্তিতে ২য় বারের মতো ভর্তি সার্কুলার প্রকাশ করা। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে ম্যানুয়ালি শূন্য আসনে মেডিকেল কলেজ সমূহে অগ্রাধিকার ও পছন্দ অনুযায়ী উক্ত তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের আরো একবার ভর্তির বিশেষ সুযোগ করে দেয়া। এতে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তৈরি হওয়ার শঙ্কা দূরীভূত হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ চিকিৎসক হওয়ার পথকে সুগম করবে। 

মেধাতালিকায় থাকা আব্দুল্লাহ হিল ক্বাফি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২৩ তারিখ মেডিকেল ভর্তির প্রথম সার্কুলার প্রকাশ করা হয়। মে মাসের ১৭ তারিখ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় এবং শেষ হয় ২৫ তারিখ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি প্রায় ৭০০ সিট ফাঁকা রয়েছে। আর ৫৭০০ মেধাতালিকায় থেকেও আমার এক বন্ধু ভর্তি হতে পারছেন না। আ 

তিনি আরও বলেন, এর আগেও ২৬ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আমরা একটা স্মারকলিপি দিয়েছি। যেহেতু ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তিনবার সার্কুলার দিয়েছে। এমনকি ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষেও দুইবার সার্কুলার প্রকাশ করে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী নিশ্চিয়ন ভুল করেছে, কেউ নির্দিষ্ট তারিখে ভর্তি হতে পারেননি। আমরা যেন ভর্তি হতে পারি, সে ব্যাপারের সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।