বুটেক্সে আন্তর্জাতিক সম্মেলন, ফ্যাশন ইনোভেশন ও টেকসই প্রোডাকশনে গুরুত্ব
- ২৫ মে ২০২৫, ১৪:২৬

ফ্যাশন ইনোভেশন ও টেকসই অ্যাপারেল প্রোডাকশনের দিকে গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। শনিবার (২৪ মে) ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের উদ্যোগে এ কনফারেন্স আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ ফায়েজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. বি. এম. ওবায়দুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বুটেক্স উপাচার্য ড. মোঃ জুলহাস উদ্দিন, আইটিইটি’র অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এহসানুল করিম কায়সার এবং বুটেক্সের ফ্যাশন ডিজাইন ও অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান খানসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বক্তব্য প্রদানকালে বুটেক্স উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ জুলহাস উদ্দিন বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের (যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত) গবেষকদের অংশগ্রহণে এই সম্মেলন টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পে টেকসই উন্নয়ন ও উদ্ভাবনের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণ গবেষকরা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও উদ্ভাবনী গবেষণাপত্র উপস্থাপন করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এই সম্মেলন গবেষণার গুণগত মান উন্নয়নে, বিশেষ করে অটোমেশন প্রযুক্তি ও শিল্পের সঙ্গে একীভূত গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিল্প ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, আগামী বছর থেকে আরও একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে গবেষণা ও প্রকাশনার হার বাড়ানো সম্ভব হয়। তিনি জানান, ২০২৬ সালে টেক্সটাইল ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ পরবর্তী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করবে। শেষে তিনি সম্মেলনের আয়োজক কমিটি, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, শিক্ষক, গবেষক, কর্মকর্তা, ছাত্রছাত্রী এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সোসাইটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি অধ্যাপক কিউ হি লি এবং কনকুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জুনসিয়োক কোহ।
উল্লেখ্য, এবার কনফারেন্সে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৬০টি পেপার জমা হয়। যার মধ্যে ৩৬টি প্রেজেন্টেশনের জন্য বাছাই করা হয়।