কুয়েটে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষকদের, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- ২০ মে ২০২৫, ১৯:৩৬

পূর্বঘোষিত পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়নে রোডম্যাপ প্রকাশ এবং ১৮ ফেব্রুয়ারির শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচার নিশ্চিতসহ শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফেরাতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক সমিতি।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকবৃন্দ দ্রুত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. ফারুক হোসাইন বলেন, “আমরা ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়কে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। বিশেষ করে ২১ মে দুপুর ১টার মধ্যে বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবো।”
কী ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হতে পারে—এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. ফারুক হোসাইন বলেন, “যদি দেখা যায়, ভিসি মহোদয়ের সিদ্ধান্তের কারণেই আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না, তাহলে এক দফা দাবি নিয়ে আমাদের সামনে এগোতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভিসি মহোদয়কেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যোগ্য ও প্রস্তুত কি না।”
তিনি আরও জানান, আগামীকাল ২১ মে, বুধবার, একই সময় ভাইস চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
ব্রিফিংয়ে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে উপাচার্যের ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, “শুধুমাত্র দাপ্তরিক ব্যস্ততার অজুহাতে ক্যাম্পাসের সংকটময় মুহূর্তে ভিসি মহোদয়ের বাইরে অবস্থান দায়িত্বহীনতার পরিচায়ক।”
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষক অবমাননার ঘটনায় সহিংসতা ঘটে। এর পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষকরা এখনও ক্লাসে ফিরে যাননি, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।