শাবিপ্রবির অধ্যাপককে মারধর, মধ্যরাতে সড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
- ১৯ মে ২০২৫, ১৭:৩৩

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
ঘটনাটি ঘটে আজ রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন আখালিয়া এলাকার মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে।
অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে পাঠানটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে এক মোটরসাইকেল আরোহী তাঁর গাড়ির সামনে এসে পড়ে এবং হঠাৎ ধাক্কা লাগে। এ সময় ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল থেকে নেমে এসে তাঁকে মারধর করেন।
আহত অবস্থায় তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসেন। প্রথমে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালের সামনে সিলেট–সুনামগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে পুনরায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে পুরো এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সড়ক অবরোধ চলাকালে সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়, এবং শিক্ষার্থীরা 'ভুয়া ভুয়া' স্লোগান দিয়ে প্রতিবাদ জানান।
লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আল-শাহরিয়ার বলেন, "আমি সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলাম, হঠাৎ পেছন থেকে সেনাবাহিনী এসে লাঠিচার্জ শুরু করেন।"
শাবিপ্রবির সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বেলাল হোসেন শিকদার বলেন, "পিএমই বিভাগের অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তির ঝামেলার একপর্যায়ে শিক্ষককে হেনস্তা ও মারধর করা হয়। এর প্রতিবাদেই শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান জানান, ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে না পেয়ে তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তকে ধরতে তৎপরতা চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শেষ পর্যন্ত সড়ক থেকে সরে আসেন। তবে তারা দ্রুত অভিযুক্তের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।