ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের থেকে পুনঃনিরীক্ষণের খরচ বেশি হাবিপ্রবিতে
- ১৪ মে ২০২৫, ০৩:৫৪

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই তৈরি হয়েছে চরম বিতর্ক এবং জটিলতা। ফলাফলে বিস্তর অসংগতি ধরা পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির গাফিলতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দফায় ফলাফল রাত ৩টায় প্রকাশিত হয়। কিন্তু ফলাফলে ব্যাপক অমিল দেখা দিলে তা নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুনঃপরীক্ষা চালায় এবং শুধুমাত্র B3 শিফটে প্রায় ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন করা হয়। এরপরও কেউ চাইলে ফল পুনঃনিরীক্ষণের (রিচেকিং) আবেদন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ।
তবে রিচেকিংয়ের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১২ টাকা ১৫ পয়সা—যা ভর্তি আবেদনের ফি (১,০০০ টাকা) থেকেও বেশি। এই অস্বাভাবিক ফি নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন: পা দিয়ে লিখে হাবিপ্রবিতে মেধা তালিকায় থাকা মানিক হতে চান কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
হাবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, “ভর্তি পরীক্ষায় হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক বিভেদ ভুলে যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তাতে একটি ইতিবাচক ইমেজ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের অদূরদর্শিতা সেই ইমেজ নষ্ট করে দিয়েছে। উপরন্তু নিজেদের ভুলের দায় শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপিয়ে রিচেকিংয়ের নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করা সম্পূর্ণ অমানবিক।”
অভিভাবকদের অভিযোগ, একজন দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী যেখানে এক হাজার টাকার ভর্তি আবেদন করতেই হিমশিম খায়, সেখানে প্রশাসনিক ভুলের দায়ে পুনর্মূল্যায়নের জন্য বাড়তি টাকা আদায় করা চরম অবিচার।
এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজ বলেন, “আমরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই ফি নির্ধারণ করেছি। এটি কমানোর বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।”